নিজস্ব প্রতিনিধি; শেরপুরে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার উদ্দেশ্যে স্কুলের আশেপাশে ঘোরাফেরায় নিষেধ করার জের ধরে শবে বরাতের রাতে রাজু খন্দকার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে কয়েক বখাটে।
২১ এপ্রিল রবিবার রাতে শহরের দমদমা মহল্লায় ওই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রাজু খন্দকারকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাজু খন্দকার শহরের দমদমা মহল্লার খন্দকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও স্থানীয় এমএ পাবলিক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার মাথা ও থুতনিতে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখমসহ শরীরে আরও বেশ কিছু জখম রয়েছে। ওই ঘটনায় সোমবার সদর থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও গ্রেফতার হয়নি কোন আসামী।
জানা যায়, শেরপুর শহরের নওহাটা মহল্লার জনৈক রুমান ড্রাইভারের ছেলে রাতুল (১৮) তার ২/১ জন সঙ্গী নিয়ে প্রায়ই জেলা কারাগার মোড়স্থ এমএ পাবলিক স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করার উদ্দেশ্যে স্কুলের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে আসছিল। কয়েকদিন আগে বিষয়টি রাজু খন্দকার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলে সঙ্গীসহ রাতুলকে স্কুল অঙ্গনে ঘোরাফেরা করতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। এ কারণে রাতুল ও তার সঙ্গীরা রাজুর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজু ও তার এক বন্ধু শবে বরাতের নামাজ আদায় করে জেলা কারাগার মসজিদ থেকে দমদমা মহল্লাস্থ পুরাতন মসজিদে মিলাদে অংশ নিতে যাওয়ার পথে রাতুলের নেতৃত্বে ৭/৮ জন বখাটে রাজুর উপর হামলে পড়ে। ওই অবস্থায় রাজু প্রাণ বাঁচাতে রাস্তা থেকে দৌড়ে পশ্চিম পাশের ধান ক্ষেতে পড়ে গেলে তারা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দ্বারা এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। পরে আশেপাশের লোকজন গুরুতর রক্তাক্ত ও নিস্তেজ অবস্থায় রাজুকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এদিকে ওই ঘটনায় সোমবার স্কুলছাত্র রাজুর পিতা বাদী হয়ে রাতুলসহ কয়েকজন বখাটের বিরুদ্ধে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর সদর থানার এসআই আনছার আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজুর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি। সেইসাথে গ্রেফতার হয়নি কোন বখাটে আসামী।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।