পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তারা নীলক্ষেত মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। সেখানে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে তা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এরইমধ্যে অনেকে প্রতিবাদের অভিনব পদ্ধতিও গ্রহণ করেছেন। তবে এরমধ্যে একটি ছবি দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে।
‘বেলা তুমি বিয়ে করে ফেলো, আমি সেশন জটে আটকে গেছি’-ব্যতিক্রমী এই স্লোগান লেখা প্লেকার্ড নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়েছেন এক শিক্ষার্থী।তার দাবি সেশন জটে আটকে পড়ায় তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারছেন না।আর শিক্ষাজীবন শেষ করতে না পারায় তার মতো অনেকে চাকরি পাচ্ছেন না। বিয়ে করতে পারছেন না পছন্দের মানুষকে।
এই শিক্ষার্থীর নাম সুজয় দাস। পড়েন ঢাকা কলেজে। গণিত বিভাগে। মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে সুজয়কে দেখা গেছে।তার হাতে শোভা পাচ্ছিল ব্যতিক্রমী ওই প্লেকার্ড।
কর্মসূচির ফাঁকে সুজয়ের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। ব্যতিক্রমী এই প্লেকার্ড নিয়ে আসা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে সুজয় দাস যুগান্তরকে বলেন, অঞ্চন দত্তের বিখ্যাত ‘চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো / এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা’ গানটি আমার বেশ পছন্দ।গানের মূল উপজীব্য ছিল চাকরির জন্য নায়কের বিয়েটা আটকে ছিল।
তিনি বলেন, সেই গানের গল্পের মত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থা। আমরা যারা সাত কলেজে পড়াশোনা করছি তারা মূলত সেশন জটে আটকে গেছি। এখানে সময়মতো পরীক্ষা হয় না, পরীক্ষার পর ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। ফলে এখন আমাদের অনেককেই বলতে হচ্ছে, ‘বেলা তুমি বিয়ে করে ফেলো, আমি সেশন জটে আটকে গেছি।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাত দফা দাবিতে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মানববন্ধন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা, যা নীলক্ষেত ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। এর পর সড়ক আটকিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।
এ সময় তারা সাত কলেজের নানা সমস্যা তুলে ধরে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ‘গণহারে আর ফেল নয়, যথাযথ রেজাল্ট চাই’, ‘শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা নয়’, ‘গণহারে ফেল, ঢাবি তোমার খেল’, ‘বন্ধ কর অনাচার, সাত কলেজের আবদার’, ‘নিচ্ছ টাকা দিচ্ছ বাঁশ, সময় শেষে সর্বনাশ’- এসব স্লোগান দেয়া হয় বিক্ষোভে।