ads
রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

৩য় শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করল বখাটে আনোয়ার; অতঃপর..

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯
  • ১৯ বার পঠিত

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক কালিহাতী এলেঙ্গা হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র আনোয়ার হোসেনকে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ধর্ষণের বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বরেরা মীমাংসা করে মীমাংসায় জরিমানার টাকা মাতাব্বরদের আত্মসাতের অভিযোগও পাওয়া যায়।

জানা যায়, উপরোক্ত বিষয়ে অনলাইন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানা পুলিশের নজরে আসলে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ওই ছাত্রীর পরিবারকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ওই দিন দুপুরে ছাত্রীটির বাবা বাদি হয়ে একটি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আনোয়ার হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী এলেঙ্গা পৌর এলাকার একটি মাদ্রাসায় ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রী উপজেলার এলেঙ্গাতে অবস্থিত একটি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। তার বাবা এখানেই বাসা ভাড়া করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং তারা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাসিন্দা।

আর ধর্ষক আনোয়ার হোসেন এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। সে নেত্রকোনা মদনপুর ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে। তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এলেঙ্গাতে হোটেল ব্যবসার পরিচালনা করে আসছে।

সেই সাথে ধর্ষণের বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বররা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করে মিমাংসার পুরো টাকা ওই ছাত্রীর পরিবারকে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, আমি এলেঙ্গাতে বাসা ভাড়া নিয়ে একটি সেলুন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। থানায় মামলা করার পর থেকে আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়টি সমাজে মিমাংসা করে দেয়ার পর সাংবাদিক ও থানা পুলিশ জেনে যাওয়ায় নেতারা বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে আমাদেরকে গালাগালি করতেছে ছেলের বাবা-মা সবাই। তিনি এর কঠিন বিচার চান

এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মা বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে আমি রান্না করতেছি। আমার মেয়ে ও আরো একটি মেয়ে ওদের বাসায় টিভি দেখতে যায়। ওই মেয়েটিকে ঘর থেকে বের করে দেয় আনোয়ার। এর কিছুক্ষন পর ঘরের দরজা বন্ধ করে আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।এসময় মেয়ে চিৎকার দিলে আনোয়ার পালিয়ে যায়। পরে ওর মাকে বিষয়টি জানালে সে বিশ্বাস করেনি।পরে থানায় মামলা করতে চাইলে আনোয়ারে বাবা ও বড় ভাই স্থানীয় সমাজপতিদের জানালে তারা ৪০ হাজার টাকা মিমাংসা করে। পরে তারা আমাকে ২০হাজার টাকা দিয়ে আর ২০হাজার টাকা তারা নিয়ে যায়। মামলা করার পর থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে।আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এবিষয়ে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, মামলা করার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের পর যদি এঘটনায় কারো জরিত থাকার বিষয় বের হয়ে আসে তাহলে তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য পাঠানো হবে। তাকে ধর্ষন করা হয়েছে নাকি ধর্ষন চেষ্টা করা হয়েছে রিপোর্ট পেলেই বুঝা যাবে। তবে মেয়েটির পরিবারকে সর্বত্ত নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি ।

এদিকে ওই ছাত্রীকে বিকেলে টাঙ্গাইল চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আদালতে হাজির করে ২২ দারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫৬
  • ১১:৪৬
  • ১৫:৩৯
  • ১৭:১৮
  • ১৮:৩৪
  • ৬:১০
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102