মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে দুই বোনকে গণধর্ষণ ও এক বোনের আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি রতন মিনজিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর সাভার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর র্যাব-১৩ এর সদর দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
তিনি জানান, রংপুর জেলার পীরগাছা থানাধীন সোম নারায়ন গ্রামের বুধু মিনজির ছেলে রতন মিনজির সঙ্গে মিঠাপুকুরের আদিবাসী পল্লীর এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার দিন গত ১৮ এপ্রিল দেখা করতে মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীকে ডাকে রতন। ওই দিন বিকেলে চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে ভগ্নিপতির বাড়ি পীরগাছায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় দুই বোন।
এরপর রংপুর শহরের মাহিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে সেখানে রতন ও তার দুই বন্ধু হযরত এবং মামুন মিলে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে দুই বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। এতে দুইবোন ভয় পেয়ে কাউকে কিছু না বলে পরদিন বাড়ি ফেরে। এরপর লজ্জা এবং ক্ষোভে বিকেল ৫টার দিকে শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বড় বোন।
বিষয়টি প্রথমে কেউ না জানলেও পরে ওই ছাত্রীর মুঠোফেনে প্রেমিক রতনের ছবি এবং তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা ক্ষুদে বার্তায় আত্মহত্যার কারণ বেরিয়ে আসে। ঘটনার পাঁচদিন পর ২৩ এপ্রিল আত্মহত্যাকারী ছাত্রীর এক বোন বাদী হয়ে কথিত প্রেমিক রতনসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক আরও জানান, মামলা দায়েরের পর র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে সাভার এলাকায় আত্মগোপনে থাকা রতন মিনজিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন মিনজি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলেও তিনি জানান।