কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরেও প্রেমিক বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তানিয়া (২৩) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ভৈরব উপজেলার মধ্যেরচর গ্রামের মিলন মীরের মেয়ে তানিয়া।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তানিয়ার। লেখাপড়ার পাশাপাশি স্থানীয় সাজেদা আলাল নামের একটি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করতেন তানিয়া। একই হাসপাতালের ফার্মেসিতে চাকরি করতেন মিজানুর।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে তানিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে আসেন মিজানুর। এ সময় তানিয়ার বাড়ির লোকজন তাদের দেখে ফেলে। মিজানুরকে আটকে রেখে পরদিন শুক্রবার সকালে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়। এ সময় তানিয়ার অভিভাবকরা তাদের বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু বিয়ে করতে অসম্মতি জানায় মিজানুর। এ ঘটনায় লজ্জায়, অপমানে শনিবার রাতে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তানিয়া।
তানিয়ার মা শেফালী বেগম জানান, তানিয়ার প্রেমের বিষয়টি তারা জানতেন না। বৃহস্পতিবার ঘটনার পর মিজানুরের সঙ্গে তানিয়ার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্ত মিজানুর ও তার পরিবারের সদস্যরা এতে অসম্মতি জানায়। লজ্জা ও অপমানে তানিয়া আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে তানিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আগামীকাল রবিবার তার মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, তানিয়ার পরিবার চাইলে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তবে বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমানকে জানানো হয়েছে। তিনি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।