মো: আ: হামিদ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইলে নববধূকে সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনায় স্বামী সজিব মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে গত ২৫ এপ্রিল ঘাটাইলডটকমে ‘বাসাইলে মাদকের টাকা না পেয়ে নববধূকে জলন্ত সিগারেটের ছ্যাকা স্বামীর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
গ্রেফতারকৃত সজিব উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের আদাজান গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) দক্ষিণের ওসি শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, বাসাইলে যৌতুকের জন্য এক নববধূকে বিড়ির আগুনের ছ্যাকা দেওয়ার ঘটনায় গত ২৫ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বাসাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই মামলার পলাতক প্রধান আসামি ওই গৃহবধূর স্বামীকে বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়া এ মামলায় ওই গৃহবধূর শ্বশুরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করা হবে। এর আগে পুলিশ ওই গৃহবধূর শাশুড়ীকে গ্রেফতার করে।
খাদিজার বাবা আবুল হোসেনের বরাত দিতে পুলিশ জানায়, ২২দিন আগে সজিবের সঙ্গে খাদিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সজিব ও খাদিজার মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। বিভিন্ন সময় খাদিজার স্বামী যৌতুকের দাবীতে তাকে মারধর করত। গত ২৩ এপ্রিল রাতে খাদিজাকে হাত-পা বেঁধে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে আগুনে ছ্যাঁকা দেয়। ২৫ এপ্রিল দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খাদিজাকে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা জানান, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী টাকা ও বিয়েতে দেওয়া ১ ভরি সোনার গহনার জন্য চাপ দিচ্ছিল। প্রতিদিন তাকে মারধর করত। শ্বশুর বাড়ির লোকজন জেনেও কিছু বলতো না। নেশার টাকা না পেয়ে তার সারা শরীরে বিড়ির ছ্যাকা দিয়ে ঝলসে দেয় সজীব।