দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা, তার তালিকা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।
গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
দুই সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তালিকা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
এ ছাড়া রিটে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও আইন মন্ত্রণালয়কে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট ২১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনটির ওপর বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে রিটকারী আইনজীবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে সংঘটিত বিভিন্ন যৌন হয়রানির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে কেন রাষ্ট্রীয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে ২০০৮ সালে সুপ্রিমকোর্টে একটি রিট মামলা করা হয়।
আদালত ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠনের আদেশ দেয়া হয়