দরিদ্র পিতার একার রোজগারে চলে সংসার ও তিন ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ। সহপাঠী অন্যদের মতো অর্থাভাবে ঠিকমতো কোচিং করতে পারেনি।
তারপরও অদম্য মেধাবী মাহবুবা খাতুনকে দারিদ্রতা দমিয়ে রাখতে পারেনি। সে এবার যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মধুপুর-বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়েছে। মাহবুবার পিতা আবুল হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রী ও মা বিউটি খাতুন গৃহিনী।
মাহবুবা জানায়, ভিটাবাড়ি ১২ শতক জমি ছাড়া তার বাবার আর কোন জমি নেই। পরের জমি বর্গা নিয়ে ৬ মাসের খাদ্যের সংস্থান হয়। রাজমিস্ত্রীর কাজ করেই চলে সংসার। পাশাপাশি যশোর এমএম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে মাস্টার্সে (গণিত) পড়–য়া বড় বোন হাবিবা খাতুনের জন্য টাকা পাঠাতে হয়। আবার ৭ম শ্রেণিতে পড়–য়া ছোট ভাই আহম্মদ উল্লাহর খরচও জোগাতে হয়।
মাহবুবার স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু যেখানে বাবাকে অন্য ভাইবোনদের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে তার এই স্বপ্ন কি অধরাই থেকে যাবে। পিতা আবুল হোসেন বলেন, তিনি শুনেছেন বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে কোচিং-প্রাইভেটে অনেক টাকা খরচ হয়। তিনি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে জানান, তার সামান্য আয়ে মেয়ের স্বপ্ন পূরণে উচ্চশিক্ষায় খরচ জোগানো আদৌ কি সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।