নিজস্ব প্রতিনিধি; ভ্যাপসা গরম আর কাঠফাটা রোদ মাথায় নিয়ে সাত সকালেই বোরো ধান মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন তারা।
রোদে পুড়ে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিরন্তর কাজ করে চলছে এসব শ্রমজীবী মানুষ। শ্রমিক দিবস আসে-যায়, কিন্তু তাদের কাজ থেমে থাকেনা ।
নিজের জীবনে নেই স্বপ্ন বলতে তেমন বড় কিছু। শুধু জানেন গৃহস্তের জমিতে ‘কামলা’র কাজ করেই খাবার জোগাড় করতে হবে। চুলায় আগুন না জ্বললে অভাব- অনটনের সংসারে বউও বাপের বাড়িত পালাইবো।
শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায় এমনি কয়েকজন কৃষি শ্রমিক ধান মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত। এদের একজন শফিকুল মিয়া বলেন, দিবস দিয়ে আমাদের কিছু হবে না। আমরা কাজ করলে টাকা পাবো, কাজ না করলে পেটে ভাত যাবে না। রোদ-বৃষ্টি যাই হোক খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে কাজ করতেই হবে।
আরেক কৃষি শ্রমিক ইন্তাজ আলি বলেন, ভাই দিবস দিয়ে আমি কি করবো। আমি কাজ না করে বসে থাকলে কে খাওয়াবে? বড় লোকের কাজ না করলেও চলে। কিন্তু আমরা কাজ না করলে মুখে ভাত উঠবে না। তাই আমগোর জন্য কোন দিবস-টিবস নেই। বউ-পুলাপানের খাবার জুটাতে প্রতিদিন কাজ করতে হয়।
শহরের কুসুমহাটি বাজারে অটো রিকশা চালক সবুজের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ভাই, সপ্তাহে দু’দিন কিস্তি দিতে হয় সমিতির। টাকা আজ জোগার করে রাখতে হবে, তা না হলে কিস্তি দিতে পারবো না। তাই মে দিবস বলে আমাদের কিছু নেই। আমাদের যে কাজ তা করতেই হবে।
শ্রমিকদের সম্মান আর অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন মহান মে দিবসের মর্মবাণী জানারও সময় নেই তাদের ! এমনকি নেই প্রায় ১৩৩ বছর আগের নিজেদের অধিকার আদায়ের দিনটি সম্পর্কে তেমন ধারণা!