শেরপুর জেলা প্রতিনিধি; শেরপুরের শ্রীবরদীতে স্থানীয় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষক একই এলাকার নওশেদ আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক উজ্জল।
বুধবার (১ মে) দুপুরে উপজেলার শংকরঘোষ এলাকার এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে যান শেরপুরের পুলিশ সুপার।
ধর্ষণের স্বীকার ওই শিক্ষার্থীর দাবি, মা-বাবা ধান কাটার জন্য ধান ক্ষেতে গেলে বাড়িতে লোক না থাকায় কৌশলে উজ্জল ওই শিক্ষার্থীকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে হাত বেঁধে ফেলে ধর্ষণ করে। এসময় ডাক চিৎকার করলে উজ্জল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভর্তি করে। এ ঘটনায় বিকালে পুলিশ শংকরঘোষ এলাকা ও ধর্ষণের স্বীকার শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে যান।
ভিকটিমের বোন জানান, তিনি অন্য বাড়িতে ছিলেন। পরে বাড়িতে এসে শুনে তার বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথমে মুখ চেপে ধরে হাত বেঁধে ফেলে। এজন্য তার বোন চিৎকার করতে পারেনি। তিনি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. খন্দকার রাহাদ মাহাফুজ বলেন, ধর্ষণের শিকার একটি মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার ডাক্তার পরীক্ষা চলছে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম সাংবাদিকদের জানান, তিনি পুরো ঘটনা জেনে বিস্তারিত জানাবেন।