শনিবার (৪মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন পদ্মানদী থেকে শিশু আমির হামজা ও এর কিছুক্ষণ পরে আরেক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে ওই যুবকের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
স্পিডবোট দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঘটনার দিন একজন এবং শনিবার নিঁখোজ আরো দুইজনের লাশ উদ্ধার হলো দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পদ্মানদী থেকে।
গত বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে চলাচল করতে গিয়ে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে একটি ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় মো. মুরাদ নামের এক যুবককে গুরুতর আহতাবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। এ সময় শিশু আমির হামজাসহ আরো এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আমির হামজা শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের খাড়াকান্দি গ্রামের ইমরান ফরাজীর ছেলে। দুর্ঘটনায় নিহত শিশুটির বাবা,মা ও ভাই আহতাবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লাশ উদ্ধারে যাওয়া শিবচর থানার এএসআই মো. মজিবর বলেন,’কাঁঠালবাড়ী ঘাটের অপর পাড়ে স্বল্প পানিতে শিশুটির লাশ ভাসতেছিল। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে লাশটি উদ্ধার করি। এর পরেই ঘাটের একটু দূরে আরেক স্থান থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিবচর থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, স্পিডবোট দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে এ ব্যাপারে সর্তক রয়েছে প্রশাসন।