শেরপুর জেলা প্রতিনিধি; ইফতারের প্রায় একঘণ্টা বাকি। চলছে বিক্রেতাদের শেষ মুহূর্তের হাঁকাহাঁকি, ক্রেতাদের দর-কষাকষি আর তড়িঘড়ি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম। এই দৃশ্য গতকাল বিকালে আখের মামুদ বাজারের।
বাসায় নানান রকমের ইফতারি তৈরি হলেও অনেকেই দোকান থেকে ইফতারির বিভিন্ন পদ কিনে নিচ্ছেন। ইফতারের সময় সব রোজাদারই চান সামর্থমত মুখরোচক খাবার দিয়ে ইফতার করতে। তাই বিকেল থেকেই প্রতিটি বাসায় পড়ে যায় ইফতার তৈরির ধুম। বাসার তৈরি ইফতারের সঙ্গে যোগ হয় বাইরে থেকে কিনে আনা মুখরোচক ইফতার সামগ্রী।
শেরপুর পৌরশহরের জেলখানা মোড়, খোয়ার পাড়, নিউমার্কেট, নতুন বাসস্ট্যান্ড, থানার মোড়সহ বিভিন্ন ইফতারির দোকান ঘুরে দেখা যায়, নানা স্বাদের ইফতারসামগ্রীতে দোকানগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতারাও এ দোকান, ও দোকান ঘুরে নিজের চাহিদার ইফতারিটি কিনছেন।
ইফতারের দোকানে প্রতিটি পিয়াজু বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকায়। ডিমের পিয়াজু ১০ থেকে ১৫ টাকা, ছোলা ১০ থেকে ২০ টাকা প্রতি প্যাকেট , বেগুনি প্রতিপিচ ৫-১০ টাকা করে। বিভিন্ন ধরনের সবজি বড়া পাওয়া যাচ্ছে প্রতিপিচ ৫-১০ টাকায়। রমজানের বাজারে মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।
জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। আলুর চপ প্রতি পিচ ৫ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে, ডিমের চপ বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ইফতারিতে খেজুর চাই-ই সকল রোজাদারের আর বর্তমানে খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজি। ফলের মধ্যে কলা ২০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি হালি, আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকায়।
নিউমার্কেটে কথা হয় ইফতারি কিনতে আসা শাহ-জাহান মিয়া বলেন, আমরা ব্যাচেলর বাসায় থাকি এখান থেকে ইফতারি কিনতে এসেছি। তবে গত বারের তুলনায় এবার ইফতারের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু ও খিচুড়ি ছাড়া ইফতারি ভালো লাগে না সে জন্যই কিনতে আসা ।
আখের মামুদ বাজারের ইফতারি বিক্রেতা ইয়াসিন আলি বলেন, আমরা প্রতি বছর ইফতারির দোকান বসায়। এবার ইফতারি বেচা ভালোই হচ্ছে এখন পর্যন্ত। নিত্যপণ্যের দাম আগের চেয়ে বেশি হওয়ায় আমাদের ইফতারির আয়োজনেও প্রভাব পড়েছে।