কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রেমের টানে ওমান প্রবাসী শামীম ফয়সাল নামের পূর্বের প্রেমিকের সাথে এক শিশু কন্যাকে নিয়ে পালিয়েছেন অপর এক সৌদি খছরুল হায়দার আরিফের স্ত্রী। আরিফের স্ত্রীর নাম উম্মে রোম্মান নিশাত (২১)।
এ ঘটনায় সোমবার (১৩ মে) নিশাতের শাশুড়ি খোদেজা আক্তার চৌধুরী বাদী হয়ে গৃহবধু নিশাত, তার বাবা চিওড়া ইউনিয়নের ছোট সাতবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, মা আফসার বেগম, প্রেমিক কান্দিরপাড় গ্রামের জিএম শামীম ফয়সালের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে গুরুত্ব দিয়েছেন-নাতনিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিওড়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে জিএম শামিম ফয়সালের (২৫) সাথে ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাশ্ববর্তী সাতবাড়িয়া গ্রামের ব্যবসায়ীর কন্যা উম্মে রোম্মান নিশাতের। কিন্তু প্রেমের বিষয়টি শুরু থেকেই ছেলে ও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি।
পরে ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর পাশ্ববর্তী লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের হাজী আব্দুল গফুরের পুত্র সৌদি প্রবাসী খছরুল হায়দার আরিফের সাথে নিশাতের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
হায়দার আরিফ সম্পর্কে মেয়ের ফুফাতো ভাই। বিবাহের পরে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর নিশাতের প্রেমিক শামিমও জীবিকার টানে ওমান চলে যান।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, বিগত ৪-৫ মাস পূর্বে নিশাত কন্যাসহ বেড়ানোর কথা বলে স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে চলে যায়। গত ৫-৭ দিন পূর্বে নিশাতকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর কথা বললে তার মা ও বাবা বলে কয়েকদিন পরে যাবে।
এরমধ্যে লোকমাধ্যমে শোনা যায় পূর্বের প্রেমিক শামীমের সাথে নিশাত তার ৪ বছর বয়সী মেয়েসহ পালিয়ে গেছে।
নিশাতের শাশুড়ি জানান, বিবাহের পর থেকেই স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে নিশাত পূর্বের প্রেমিক ফয়সালের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতো। দিনের পর দিন তাদের যোগাযোগ বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে বিভিন্ন সময় পারিবারিক কলহেরও সৃষ্টি হয়।
পুত্রবধু নিশাত বাবার বাড়ি সাতবাড়িয়ায় গেলে ফয়সালের পরিবারের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলতো এবং নিয়মিত ফোনে কথা বলতো। এসব ঘটনায় আমার ছেলে দেশে এসে ফয়সালের সাথে নিশার কথোপকথনের কললিস্টও বের করে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাছির উদ্দিন জানান, গৃহবধূর পলায়নের প্রেক্ষিতে এবং নাতনির সন্ধান চেয়ে গৃহবধুর শাশুড়ি চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা গৃহবধু ও কন্যা সন্তানটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।