অনৈতিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় বগুড়ার শিবগঞ্জে মামি আলেয়া বেগমকে (৩৫) হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে ভাগনে আপেল (২০)।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলেয়া বেগম (৩৫) ভাগকোলা গ্রামের দিনমজুর সাইদুর রহমানের স্ত্রী। আপেল (২০) পার্শ্ববর্তী টেপাগাড়ী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে বাড়ির লোকজন যে যার কাজে চলে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির উঠানের পাশে টিউবওয়েল পাড়ে মামি আলেয়ার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর ভাগনে আপেলকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি কক্ষে ভাগনে আপেলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
মোকামতলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, আপেল পেশায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করে। ছোটবেলা থেকে আপেল নানা তোজাম্মেল হোসেনের বাড়িতে বসবাস করে। দীর্ঘদিন ধরে মামা সাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়ার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ভাগনে আপেল। তিনমাস আগে সুযোগ বুঝে আপেল তার মামি আলেয়ার ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করে।
ঘটনাটি আলেয়া তার স্বামীকে জানালে এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বৈঠক হয়। ওই সময়ে এ বিষয়ে আপেলকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পরও কিছুদিন ধরে আপেল তার মামি আলেয়াকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিচ্ছিল।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ধারণা করা হচ্ছে আপেল কাঠের কাজে ব্যবহৃত ধারালো বাটাল দিয়ে তার মামি আলেয়ার ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর ওই বাটাল দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যা করে। আপেলের মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে রক্ত মাখা বাটাল উদ্ধার করা হয়েছে।