ধানের দাম অস্বাভাবিক কম হলেও এখনই দাম বাড়ানোর কোন উপায় নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান। মন্ত্রী জানান, প্রকৃত কৃষক খুঁজে বের করার উপায় না থাকায় সরকারের পক্ষে সরাসরি ধান কেনা সম্ভব নয়।
এদিকে পর্যাপ্ত মূলধন না থাকায় ছোট অটো রাইস মিল মালিকরা ধান কিনতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন। এ অবস্থায় ব্যাংক থেকে কম সুদে ঋণ চান তারা।
গত বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগে কয়েক লাখ টন ধান উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার জেরে বাজারে যখন অল্প সময়ের ব্যবধানে চালের কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে যায় তখন সরকার চাল আমদানিতে নানারকম সহায়তা দিয়েছিল। কিন্তু বছর ঘুরতেই এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হলেও ধান কাটার শ্রমিক সংকট, বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের অর্ধেক দামে ধান বিক্রি হওয়ায় চরম বিপাকে কৃষকরা। সারাদেশেই ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ার চিত্র কমবেশি সমান। এ অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং ভবিষ্যতে এধরনের সংকট এড়াতে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওউনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ বলেন, প্রচুর অটো রাইস মিল বন্ধ হয়ে গেছে।
অপর এক সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের দেড় কোটি কৃষকের কাছ থেকে বিভিন্ন কারণে সরাসরি সরকারের চাল কেনা সম্ভব নয়।
আর অর্থনীতিবিদ খলিকুজ্জমান বলেন, ধানে দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করতে একটি কমিশন গঠন করা জরুরী।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই সমস্যার একটি সমাধান আছে। তা হলো রফতানি করা। ধান কিনে ধানের দাম বাড়ানো সরকারের পক্ষে এখন সম্ভব নয়।
অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে একটি স্থায়ী কমিশন গঠন করা উচিত। যারা আগে থেকেই এ বিষয়ে সমস্ত গবেষণা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
ধান-চালের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও উৎপাদন বিবেচনায় নিয়ে বর্তমানে চাল আমদানি পুরোপুরি নিরুৎসাহিত করার পক্ষে মত দেন আলোচকরা।