খুলনার রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ফারহানা ইয়াসমিন শাওন (৩৬) আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার নগরীর শেরেবাংলা রোডের ৩নং কাশিমনগর শিল্প এলাকার ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।
ফারহানা ইয়াসমিন শাওন নগরীর আল কাতরা মিল এলাকার শেখ আবদুল হকের মেয়ে। এক বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে শাওন ছিলেন বড়। তিনি ডুমুরিয়া সাজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
জানা যায়, খুলনার ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষকতা করতেন ফারহানা। পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীতের প্রশিক্ষক হিসেবেও খ্যাতি ছিল তার। গত ৬ মে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়। এতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় শাওনকে।
শাওনের সহকর্মী লিটন ঢালী জানান, ছয় মাস আগে স্বামী অপু খানের সঙ্গে ডিভোর্স হয় শাওনের। এ নিয়ে মানসিকভাবে তিনি কিছুটা বিপর্যস্ত ছিলেন।
বাবার বাড়ি পাশে হলেও তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরেক শিক্ষক শাহানা আলিমার সঙ্গে কাশিমনগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
শাওনের রুমমেট শাহানা আলিমা জানান, রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে শাওনকে মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত দেখা যায়। দুজনে কিছু বলার পর যে যার কক্ষে চলে যান।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাওনের ঘর থেকে কোনো শব্দ না আসায় তিনি ডাকাডাকি করেন। পরে আশপাশের বাড়ি থেকে অন্যরা এসে কাচের দরজা ভেঙে শাওনকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খুলনা সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, মানসিক চাপ কমাতে শাওন প্রায় ঘুমের ওষুধ খেতেন। পরিবার ও বন্ধুদের পক্ষ থেকে একাধিকবার তাকে ঘুমের ওষুধ খেতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরও তিনি শুনতেন না।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তার পরও সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।