গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নির অবস্থার উন্নতি হয়নি। জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে। গত ২৪ ঘণ্টাও জ্ঞান ফেরেনি তার।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ মে) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নার্সের দেয়া ভুল ইনজেকশনে তার এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
এ ব্যাপারে ঐ ছাত্রীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে ডা. তপন কুমার মন্ডল, নার্স শাহানাজ ও কুহেলিকাকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় গতকাল রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্বজনরা জানান, পিত্তথলির পাথরজনিত কারণে মুন্নিকে ডাক্তার তপন কুমার মন্ডলের কাছে দেখানো হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই শিক্ষার্থীর অপারেশন করার দিন ধার্য ছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের নার্স ওই ছাত্রীকে গ্যাসের ইনজেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দিয়ে দেয়। এসময় ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হরিয়ে ফেলেন। পরে তাকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, এ ব্যাপারে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী শনিবার কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।