শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি জেবা খান, মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভানেত্রী পেয়ারা মোস্তফা, শামসুন্নাহার বেগম, শাহজাদী কহিনুর, মিনা বেগম, নাজনীন, গুলশান আরা মিতা, নিলুফা ইয়াসমিন নিলু, সাবিনা ইয়াসমিনসহ কয়েকশ নেতাকর্মী অংশ নেন।
মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক পথসভায় রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলেছেন। ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে থাকার জন্যই ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতের নির্বাচন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রেখেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা নিরাপদ করার জন্য তাদের ভয়াবহ দুঃশাসন নিয়ে কেউ যেন টু শব্দ করতে না পারে সেই কারণেই নির্দোষ খালেদা জিয়াকে বন্দি করে এখন বাকশালের গুণকীর্তন শুরু করেছেন।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনার একটাই লক্ষ্য- কীভাবে খালেদা জিয়াকে কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ করে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা যায়। কিন্তু বর্তমান সরকারের অপশাসন জনগণ সব শক্তি দিয়ে রুখে দেবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে এখন সংগ্রামী জনতা রাজপথে নেমে আসার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।