মো: আ: হামিদ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী মুকুল আকন্দ মৃত্যুর বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী। সোমবার(২৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে ওই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্বজনহারা পরিবার, পশ্চিম আকুর টাকুর ও কাগমারাবাসী কর্তৃক স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিতি ছিলেন, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল ফকির, শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কোরবান আলী, দলিল লেখক সমিতি টাঙ্গাইল সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব জহুরুল হক, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন রশিদ সোনা আকন্দ, ৩নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক শাহীন, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তোফা, জেলা সদর মার্কেট ব্যবসায়ীর সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব শীতল আকন্দ, জেলা হকার্স লীগের সভাপতি বাদশা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক বাবলু মিয়াসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনায় সম্পৃক্তদের অবহেলায় এই রোগী মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে বলে এ স্মারকলিপিতে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। স্মারকলিপিতে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করাসহ চাকুরীচ্যুতির দাবিও জানিয়েছেন স্বজনহারা পরিবারসহ এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত ২৩ মে টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়াস্থ মৃত তালু আকন্দের ছেলে মুকুল আকন্দকে অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেন পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অক্সিজেন প্রদানের মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে পরবর্তী কযেক ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
সন্ধ্যার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম সজিব এর সাথে রোগীকে কিভাবে ঢাকায় নেয়া যায় সে বিষয়ে পরামর্শ করতে গেলে তিনি রোগীর ভাই, স্ত্রী ও সন্তানের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতদ স্বত্বেও নিরুপায় হয়ে তারা রোগী নেয়ার ট্রলিতে রোগীকে হাসপাতালের অক্সিজেন ও মাস্কসহ নিচে নামানোর চেষ্টা করায় চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম সজিব(৪২), মজনু মিয়া (৪৩) ও সুমন মিয়া (৩০) তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রোগী মুকুল আকন্দের মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে জোরপূর্বক হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে নামিয়ে দেন। অক্সিজেন বিহীন অবস্থায় রোগীকে নিচে নামানোর সময় রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে পুনরায় ওই চিকিৎসকসহ সহযোগীদের রোগীর অক্সিজেন ও মাস্কটি লাগিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়। তবে তারা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মারধর করেন। এ পরিস্থিতিতে রোগী মুকুল আকন্দ মৃত্যুরবণ করেন। রোগী মৃত্যুর বিষযে শোকাহত হয়ে তাদের এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হলে চিকিৎসক সজিবসহ আরো ২০-২৫জন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বেধারক মারধর করেন।
এ মারধরকালে হামলাকারী সুমনের লাঠির আঘাতে নিহত রোগীর ছেলে মাসুম আকন্দ এর মাথা ও মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।