বগুড়া প্রতিনিধি ; প্রচণ্ড ঝড়ে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্মাণাধীন বিদ্যালয় ভবনের শ্রমিকদের অস্থায়ী আবাসস্থল ভেঙে ২৬ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে উপজেলার সাজাপুরে নির্মাণাধীন আবাসস্থলটি ভেঙে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১৯ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
আহতরা হলেন- জয়নাল, শাহিন, নবীর, আলমগীর, সাফিনুর, শাহ্ আলম, বাবু, মামুন, সাদেশ, রাকিব, শিপন, রকিবুল, আতিকুল, আল-আমিন, আবদুর রাজ্জাক, সাজু ও গোলাম রব্বানী।
এদিকে ওই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় দুই মিনিটের ওই ঝড়ে কাঁচাঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়ারা খাতুন জানান, সাজাপুর ফটকি সেতু এলাকায় প্রয়াস নামে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি বিদ্যালয় নির্মাণ করছে সেনাবাহিনী। কাজ শেষে শ্রমিকরা সেখানে অস্থায়ী টিনশেড ঘরে ঘুমাতেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ ঝড়ে টিন উড়ে যায়। এর পর ইটের দেয়ালধসে অন্তত ২৬ শ্রমিক আহত হন। ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও স্থানীয়রা এদের মধ্যে ১৯ জনকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতদের মধ্যে রাকিব, আতিকুল, রকিবুল ও শিপন নামে শ্রমিকের অবস্থা গুরুতর। তাদের কারও পা ভেঙে গেছে, আবার কেউ মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন।
মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবদুল আজিজ মণ্ডল জানান, সোমবার রাতে শাজাহানপুরে হঠাৎ ঝড়ে শ্রমিকদের টিনশেড ঘর ভেঙে পড়লে শ্রমিকরা আহত হন।
চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, চারজনের অবস্থা গুরুতর হলেও তারা আশঙ্কামুক্ত।
এ ছাড়া সোমবার রাতের ওই ঝড়ে শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিরা বন্দর, সাজাপুর, ফুলতলা, কাগজিপাড়া ও আশপাশের এলাকার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
মাঝিরায় জোব্বার হোটেলের টিনের চালা উড়ে যায়। এ সময় হোটেলের কর্মচারি আবদুল জলিল, শফিকুল ও মোখলেস আহন হন। তাদেরও শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।