এবারের ঈদে রংপুরে প্রত্যাশার অর্ধেক বেচা-বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কা বস্ত্র ও পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের। একই অবস্থা পাদুকা ও প্রসাধনী ব্যবসাতেও। ধানের দামে বিপর্যয়ের কারণে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে কৃষিনির্ভর উত্তরাঞ্চলের ঈদের বাজারেও। ফলে তিন থেকে সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার ব্যবসা-প্রত্যাশার অর্ধেকও পূরণ হবে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
আলো ঝলমল মেগামল, অভিজাত বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতা উপস্থিতি ছিলো শুরু থেকেই। বেচাবিক্রি নিয়ে খুব একটা অসন্তুষ্টি নেই ব্যবসায়ীদের। ভালো মান আর দাম হাতের নাগালে বলে খুশি ক্রেতারাও।
কিন্তু এর বিপরীত চিত্র কৃষক, মধ্যবিত্ত বা সাধারণ মানুষের মার্কেট ও বিপণী বিতানগুলোতে।
দোকানিরা বলেন, ধানের দাম এক মণ ৪০০ টাকা, আর একগজ কাপড় কিনতে লাগে ১২০ টাকা। ৪০০ টাকা দিয়ে তো একটা জামাও হয় না। গ্রামাঞ্চল থেকে মধ্যবিত্ত ক্রেতারা আসে। এখানে কোনো কল-কারখানা না থাকায়, মানুষের আয়ের কোনো বিকল্প উপায় নেই, ফলে আমাদের ব্যবসা একদম খারাপ চলছে।
পরিসংখ্যান দিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে সাধারণত পুরো রোজার মাসে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ কোটি টাকার বেচাবিক্রি এখানে হয়। কিন্তু ধানের দাম না খাকায় এবার অর্ধেকও হচ্ছে না।
ব্যবসায়ী নেতা তানবীর হোসেন আশরাফী বলেন, ব্যবসা খারাপ হওয়ার প্রভাব রংপুরে খুব ব্যাপকভাবে পড়বে।
রংপুর মেট্রো চেম্বারের সভাপতি রেজাউল করীম মিলন বলেন, প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে যদি ধান কেনা না হয়, তাহলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৩ থেকে সাড়ে ৩শ কোটি টাকার বেচাবিক্রি হবে না।
কৃষিপণ্যের দামের ওপর নির্ভর করে এখানকার মানুষের জীবনযাপন। নির্ভর করে, ধর্মীয় নানা উৎসব পালা পার্বনের রঙ আর উচ্ছ্বাস।