শেরপুর জেলা প্রতিনিধি ; ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। নাড়ির টানে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ করার জন্য ইতিমধ্যেই অনেকেই এসে পড়েছেন প্রাণের শহর শেরপুরে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি অপেক্ষা করেই অনেকে কেনাকাটা করতে এসেছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহ থেকে ক্রেতারা ঈদ মার্কেট শুরু করেছেন। এর আগে ঈদের বেচাকেনা ততটা জমেনি। কিন্তু এখন সমস্যা বৃষ্টি। বৃষ্টির কারনে অনেকে না কিনেই বাসায় ফিরছেন কেউবা বাসা থেকে বেরই হচ্ছে না।
রোববার শহরের নিউমার্কেটে দেখা যায়, দুপুরের আগেই প্রচুর ক্রেতার সমাগম। কিন্তু বিপত্তি বাজে বৃষ্টি। কেউ হয়তো এই মার্কেটের বাইরে অন্য দোকানে গিয়ে পছন্দের জামা কাপড় দেখতে চাইলেও বৃষ্টির কারনে পারছেন না। আবার কেউ বৃষ্টিতে ভিজেই হাটাচলা করছেন।
তিনানী বাজার থেকে আসা ক্রেতা সাবিকুনবাহার রিয়া বলেন, ঈদ কেনাকাটায় বের হয়েছি দুপুরের দিকে। তখন আকাশ মেঘলা ছিল। ভাবলাম হয়তো বৃষ্টি আসলেও দেরি আছে। কিন্তু এখন তো দেখছি ঝুম বৃষ্টি ।
রিয়া বলেন, ছোট বোনের জন্য জামা খুঁজছিলাম-এখনও মন মতো পাইনি। তবে কাকন সু গ্যালারি থেকে এক জোড়া জুতা কিনেছি। আর নয়ানী বাজারের হক কসমেটিকস থেকে কিছু প্রাসাধনী নিয়েছি। আজ হয়তো আর পারা যাবে না।
নিউমার্কেট, নয়ানী বাজার, খরমপুর, টাউন হল মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এবারের ঈদের জন্য প্রস্তুতির শেষ নেই বিপনি বিতানগুলোর। সবাই নিজেদের সাজিয়েছেন বিভিন্ন আঙ্গিকে। কেউ কেউ লাইটিং করে নিজেদের আলাদা করার চেষ্টা করেছেন।
নিউমার্কেটের মিমোজা কসমেটিকসের ম্যানেজার রাব্বী বলছেন, এই দোকানে কসমেটিকস ও গিফট আইটেম বেশি। এর বাইরে অর্নামেন্টসও আছে। সবই এক্সপোর্ট কোয়ালিটির। ঈদকে সামনে রেখে প্রচুর নতুন নতুন আইটেম আনা হয়েছে। তরুণ-তরুণীরা এসব আইটেমের গ্রাহক বেশি।
এদিকে তেরাবাজারে পাঞ্জাবি ও টুপির দোকানে জমজমাট বেচাবিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, টুপি, জায়নামাজ, আতর, সুরমা বেশি বিক্রি হচ্ছে।
ইরানি বোরখা হাউজে আসা কল্পনা জাহান মিম জানান, স্ক্রাব কেনার জন্য এখানে এসেছিলাম। দুটি কিনেছি। আর ছোট ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি ও টুপি খুঁজছি।