শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে কৃর্তপক্ষের কোন ধরনের অনুমতি না নিয়েই সরকারী প্রাথমিক স্কুল মাঠ থেকে ২০ টি মেহগিনি গাছ কর্তন করে অর্থ আতœসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের ৫৪ নং নলবাইদ উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় মনিরুজ্জামান সহ ৩০ জন গ্রামবাসীর সাক্ষরিত একটি অভিযোগ শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুনের দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত ওই সাবেক সভাপতির দাবী গাছগুলো স্কুল মাঠের নয় ওই গুলো তার স্কুল সংলগ্ন নিজ জমির । আর স্কুল কৃর্তপক্ষ বলছে আইনানুগ প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, স্কুল মাঠের পরিত্যাক্ত জায়গায় আনুমানিক ২০/২৫ বছর আগে ৪০/৫০ টি মেহগিনি গাছ লাগানো হয়। যা বর্তমানে প্রতিটি টাকার অংকে প্রায় ১০ হাজার টাকার মত হবে। কিন্তু এমতাবস্থায় ওই স্কুলের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ ও তার ছেলে রুমান মিয়া স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে কোন ধরনের অনুমতি না নিয়েই ২০ টি গাছ ইতিমধ্যে কর্তন করে নিয়ে গেছেন । এব্যাপারে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে ফেসবুক সহ স্যোশাল মিডিয়ায় কৃর্তপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করলে তাদেরকে মামলাতে জড়ানোর হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাই অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি আব্দূল হামিদ জানান, গাছ কেটেছি এটা সত্য । তবে আমি আমার নিজ জমির গাছ কেটেছি । জমি মেপে যদি স্কুল মাঠের গাছ হয়ত তবে তা ফেরত দেয়ার চেষ্টা করবো।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লতিফা পারভীন জানান, স্কুল মাঠের গাছ গুলো কেটে নেয়ার পর আমি আমার উর্ধতন কৃর্তপক্ষ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত করি তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিলে আমি আইনানুগ প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আক্রাম হোসেন বলেন, ঘটনা শুনার পর আইনানুগ প্রতিকার পেতে শেরপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই স্কুলের গাছ গুলোতে সরকারী সম্পদ,তা বিনা অনুমতিতে কেউ কর্তন করতে পারেনা।
এবিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং একজন অফিসারকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের ।
এদিকে এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, ঈদের ছুটির পর ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে অব্যশয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।