নিজস্ব প্রতিনিধি; মানবাধিকার সংস্থা ও এনজিও সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’র উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সেন্ট্রাল অফিসে প্রায় দুইশতাধিক সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ঈদ বস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে মিরপুরের কাফরুল থানার সেনপাড়া পর্বতা’য় সেন্ট্রাল অফিসের সামনে প্রায় দুইশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও দরিদ্র নারী পুরুষের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়।
সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির উদ্যোগে বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- সংস্থার চেয়ারম্যান আনোয়ার -ই-তাসলিমা, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ওয়ালীউল্লাহ্, পরিচালক মেহেদী হাসান কল্লোল, এইচ কবির টিটুসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ঈদের নতুন পাঞ্জাবী ও খাদ্য সামগ্রী পেয়ে বিধবা হায়াতুন বেগম বলেন, ‘বাবারা অনেকদিন বাইচ্চা (বেঁচে) থাকুক। আমি সব সময় দোয়া করি। আমার মতো গরিব মাইনশেরে নতুন শাড়ি, সেমাই, চিনি, গুড়াদুধ দিছে। আর আমি এই শাড়ি পড়ে একটু ঘুরবো ঈদের দিন।
হত দরিদ্র সুখি বেগম বলেন, এবার নতুন শাড়ি পাইছি। আমার খুব ভালো লাগতাছে। আমি দোয়া করি বাবারা (সংস্থার সদস্যরা) মেল্লা (অনেক দিন) বেঁচে থাকুক।
ছমিদুল নামে এক বৃদ্ধ বলেন, বাপু, এরা নয়া পাঞ্জাবি দিছে আরও খাবার দিছে। এই পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে ঈদের নামাজ পড়মু। সবার লাইগে অনেক দোয়া করি।
আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির চেয়ারম্যান আনোয়ার -ই-তাসলিমা বলেন, আসছে ঈদে সমাজের সবাই এক সঙ্গে আনন্দ করতে চাই। তাই সমাজের অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে ‘সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ পরিবার। ঈদের এই খুশি ছড়িয়ে যাক চারপাশে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের পোশাক পেয়ে আনন্দে আত্মহারা শিশুদের হাসি দেখে চোখে জল এসেছে। তাদের আনন্দে আমাদের আনন্দ।
ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ওয়ালীউল্লাহ্ বলেন, শুদ্ধ সমাজ গঠনে সহযোগিতার মনোভাব প্রয়োজন। ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। এই আয়োজনে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক পুরো পৃথিবীতে।
পরিচালক মেহেদী হাসান কল্লোল বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। ঈদের খুশিতে আমরা সবাই একে অপরের পাশে থাকতে চাই। সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়তে এই সহানুভূতি বিশেষ প্রয়োজন। মানবাধিকার সংস্থা ও এনজিও সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’র উদ্যোগে এই প্রচেষ্টা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে এটাই আমাদের অর্জন।