এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: তৃতীয় স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী লাকি খাতুন (২২)’র রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। ৮ জুন (শনিবার) সন্ধার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাযায়, বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলামের সাথে পার্শ্ববর্তী শৌলমারী ইউনিয়নের ঝুনকিরচর গ্রামের নজির হোসেনের মেয়ে লাকি খাতুনকে গত ৪ বছর আগে তৃতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই লাকির উপর চলত অমানষিক নির্যাতন। এরপরেও সে মুখগোজে স্বামীর সংসার করে আসত। তাদের ঘরে ৬মাস বয়সের রাজু আহমেদ নামের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ঘটনার দিন ৮জুন বেলা ১০টার দিকে স্বামী আশরাফুল তার তৃতীয় স্ত্রী লাকির পারিবারিক কলহের জের ধরে মারপিট করা হয়। এসময় লাকি অসুস্থ হয়ে মেজেতে পড়ে থাকে। বিকালের দিকে লাকি খাতুন বিষপান করেছে বলে প্রচার চালায় তার স্বামী আশরাফুল। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষনা করেন। সংবাদ পেয়ে রৌমারী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ৯জুন (রবিবার) সকালে কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মৃত্যু লাকির পরিবার পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। তাদের অভিযোগ তার মেয়েকে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
অপর দিকে নারী লোভী আশরাফুল চিলমারী উপজেলার বড় চর গ্রামের কিতাব আলীর সুলতানা নামের মেয়েকে ১১ বছর আগে প্রথম বিয়ে করে। সে স্ত্রীও বিয়ের ১ বছর পরেই স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে বন্দবেড় ইউনিয়নের উত্তর ফলুয়ার চর গ্রামের আশরাফুলের চাচাতো বোন মঞ্জুর আলীর মেয়ে মনি আকতারকে বিয়ে করে। সে চাচাতো বোনেও স্বামীর অত্যাচারে সংসার ছেড়ে দিয়ে অন্যত্রে বিয়ে করে সংসার করছে।
এব্যাপারে রৌমারী থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিক বলেন, হত্যা না আত্মহ, ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।