ছোট কুঁড়েঘরে বসবাস খাদিজা খাতুনের। ১৩ বছরের খাদিজা স্থানীয় একটি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। খাদিজা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইশ্বরীপুর ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম গাজীর মেয়ে।
বুধবার বিকেলে হঠাৎ ঘরের মধ্যে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে খাদিজা। মৃত্যুর আগে কুঁড়েঘরের দেয়ালে পেনসিল দিয়ে মা-বাবার প্রতি অভিমান করে মৃত্যুর কথা লিখে রেখে যায় সে। একপাশের বেড়া দিয়ে মাটির তৈরি দেয়ালে খাদিজা লিখেছে, ‘মা-বাবার জন্য আমি জীবন দিয়েছি। এই মা-বাবা কষ্ট দিতেছে। আমার মা-বাবা খারাপ। অন্যপাশের দেয়ালে খাদিজা লিখেছে, ‘আমার মা-বাবা খারাপ।’
আত্মহত্যার পর স্থানীয়দের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদরাসাছাত্রী খাদিজার মরদেহ উদ্ধার করে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
শ্যামনগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়েটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা বলছেন খাদিজার মৃগী রোগ ছিল। ঘরের মধ্যে কাপড় পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি। শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি তার। তবে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
মৃত্যুর আগে ঘরের দেয়ালে লেখা চিরকুটের বিষয়ে এসআই রোকন মিয়া বলেন, খাদিজা স্থানীয় একটি মাদরাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তবে দুই মাস ধরে মাদরাসায় যায়নি। কি করণে ঘরের দেয়ালে মা-বাবার প্রতি ক্ষোভ ও অভিমানের কথা লিখেছে সেটি জানা যায়নি। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে কোনো তথ্য মেলেনি। আত্মহত্যার রহস্য বলতে পারছেন না তার বাবা-মা। এছাড়া পরিবারটি অসহায়। মেয়েটির বাবা ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এ বিষয়ে জানতে মেয়েটির পরিবার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। সূত্র; জাগো নিউজ২৪.কম