দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল ৪টা ১০ মিনিট থেকে ৪টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি।
বাজেট পড়ার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ বোধ করায় স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। বক্তৃতা শুরু করার অনুমতি চাওয়ার সময় তিনি গুরুতর অসুস্থ, এ কথা বলে মাঝে মাঝে বসে বলার অনুমতি চান স্পিকারের কাছে। স্পিকার তাকে অনুমতি দেন। তবে বাকি সদস্যদের অনুরোধে বসেই বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন তিনি।
এর আগে, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এরপর অর্থমন্ত্রীকে বাজেট উপস্থাপনের জন্য আহ্বান জানান স্পিকার। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতার সামান্য অংশ পড়েই অর্থমন্ত্রী অসুস্থতাজনিত কারণে দুইবার বিরতি নেন। বিকাল পৌনে চারটার পর বিরতি নিয়ে তিনি আর বাজেট বক্তৃতা পেশ করার অবস্থা না থাকলে অন্য কারও সহায়তা চান। এ সময় আগ্রহী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে বাজেট বক্তৃতাটি সংসদে পেশ করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে অর্থমন্ত্রী সংসদে প্রবেশ করেন। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে আরেকজনের হাত ধরে গাড়ি থেকে নেমে সংসদে ঢোকেন তিনি।
এর আগে, রাজধানীর বসুন্ধরায় অ্যাপোলা হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন তিনি। কয়েক দিন জ্বরে ভোগার পর মঙ্গলবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে যান তিনি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে রাতে হাসপাতালেই থেকে যান। এছাড়া বুধবার (১২ জুন) বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে হাসপাতাল থেকে পার্লামেন্টে যান তিনি। অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি আবার হাসপাতালে ফিরে আসেন।
চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য ব্যক্তিগত বিষয় হওয়ায় মন্ত্রীর অসুস্থতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি হাসপাতালের কর্মকর্তারা।