শেরপুর জেলা প্রতিনিধি; শেরপুরের নকলা উপজেলা শহরের কায়দা গ্রামে ডলি খানম (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ ও থানার এসআই ওমর ফারুককে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) শোকজ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ঘটনার তদন্তে শেরপুর-নকলা এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, নালিতাবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও শেরপুরের ডিআইও ওয়ান মো. মোকলেছুর রহমানকে নিয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও খোঁজ খবর নিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আক্কাস উদ্দিন ভুঁইয়া, শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ওই নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনাস্থল কায়দা গ্রামের ধান ক্ষেত পরিদর্শন করেন।
এসময় তাদের সাথে জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী জয়শ্রী নাগ লক্ষীসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীর বাসায় যান এবং তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন এবং কথা বলেন। এ সময় নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ডলি খানম।
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আক্কাস উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাকীদেরও গ্রেফতার করা হবে। এ ঘটনায় যদি কোন পুলিশ সদস্য কর্তব্য কাজে অবহেলা করে থাকে তবে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যায় করলে কেউ ছাড় পাবে না।
উল্লেখ্য, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শেরপুরের নকলা পৌর শহরের কায়দা গ্রামের ব্যবসায়ী শফিউল্লাহর ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ডলি খানমকে গত ১০ মে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। সেইসাথে ওই নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে গৃহবধূর ভাসুরের স্ত্রী লাকী আক্তার।
নির্যাতনে ডলি খানমের অকাল গর্ভপাত হয়। এ ঘটনার ১ মাস পর ঘটনার ভিডিও প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। পরে শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের নির্দেশে নকলা থানায় ৯ জনের নামে মামলা হয়। অভিযান চালিয়ে পুলিশ নাসিমা আক্তার নামে একজনকে গ্রেফতার করে।