বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে বাগিয়ে নেয়া ও বিভিন্নভাবে প্রতারণার অভিযোগে তিন নারীসহ ১৬ দালালকে আটক করেছেন র্যাব-৮-এর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ অভিযান চালানো হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা আহম্মেদ আটকদের মধ্যে ১১ জনকে সাতদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর পাঁচজনের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে মুক্তি দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝালকাঠির নলছিটির কুমারখালীর মন্টু শিকদারের স্ত্রী নাসরিন বেগম (৪০), গোপালগঞ্জের মকসুদপুরের কাইয়াম খানের স্ত্রী জাহানারা বেগম (২৫), বরিশাল নগরীর চরের বাড়ির নাজমুল হোসেনের স্ত্রী নার্গিস বেগম (৩০), চরের বাড়ির আ. রহমানের ছেলে দোলেয়ার হোসেন (৩২), উজিরপুরের গুঠিয়ার ইউসুফ আলীর ছেলে ইমরান হোসেন (২০), পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ উপজেলার চৈতা এলাকার আলতাফ আকনের ছেলে মো. রাজীব (২২), বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার নান্নু হাওলাদারের ছেলে মেহেদী হাসান রনি (২২), নগরীর বিমানবন্দর থানার ডেফুলিয়া এলাকার ছালাম হাওলাদারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২২), নগরীর চাঁদমারী টিঅ্যান্ডটি কলোনির প্রয়াত বাবুল দাসের ছেলে জনি দাস (৩২), চরের বাড়ির ইউনুছ আলীর ছেলে জাকির হোসেন মিঠু (৪০) এবং একই এলাকার কাদের হাওলাদারের ছেলে ফয়সাল হাওলাদার (৩৫)। দণ্ড ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
বরিশাল র্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দীর্ঘদিন ধরে ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে বাগিয়ে নেয়া ও রোগীদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিল দালাল চক্র। এসব তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে অভিযান চালানো হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওই সময় হাতেনাতে ১৬ দালালকে আটক করা হয়।
পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা আহম্মেদ ১১ জনকে সাতদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচজনের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে মুক্তি দেয়া হয়।