নিজস্ব প্রতিনিধি; আজ রোববার (১৬ জুন) বিশ্ব বাবা দিবস। সারা বিশ্বের সন্তানেরা পালন করবেন এই দিবসটি।
পিতার প্রতি সন্তানের সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বের প্রায় ৭৪টি দেশে বাবা দিবস পালিত হয়। বাবার প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা, জানানোর জন্যই এই দিবস।
উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, ১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবস উদ্যাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১৯১০ সালে ওয়াশিংটনে মা দিবস নিয়ে একটি বক্তৃতা শোনার পর সোনোরা স্মার্ট ডড বাবা দিবস পালনের প্রস্তাব করেন চার্চের কাছে। গৃহযুদ্ধের সময়কার সৈনিক, তার বাবা একা হাতে তাদের ছয় ভাইবোনকে বড় করেছিলেন। চার্চ তার প্রস্তাবটি গ্রহণ করে। প্রাথমিকভাবে সোনোরা তার বাবার জন্মদিনের দিন ৫জুন বাবা দিবস পালনের প্রস্তুতি নিলেও পাদ্রিদের বক্তৃতা তৈরি না হওয়ায় দিনটে পিছিয়ে যায়। অবশেষে জুন মাসের তৃতীয় রোববার ১৯ জুন তারা বাবা দিবস পালন করে।
১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসে ছুটি ঘোষণার জন্য একটি বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে সে সময়কার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করে ছুটি ঘোষণা করেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ঘরে ঘরে নানা আয়োজনে পালন হবে বাবা দিবস। বাবাকে শুভেচ্ছা জানাতে কার্ড, গিফট হিসেবে ফাদারস ডে মগ, টি-শার্ট ইত্যাদি তৈরি করে গিফট কর্নারগুলো। পাশাপাশি এ দিবসকে ঘিরে নাটক, টকশো ইত্যাদি টিভি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বিশেষ লেখা প্রকাশ বা প্রচার করে পালন করা হবে বাবা দিবস।