এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রতিবেশী নানা কর্তৃক এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের স্বীকার ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। বিচারের আশায় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে তার স্বজন।
জানাযায়, উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ গ্রামে নানীর কাছে আশ্রিত (পারুল ছদ্মনাম) নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী প্রতিবেশী নানা নইমুদ্দিন ওরফে আর্মি (৫৫) কর্তৃক ধর্ষণে স্বীকার হয়েছে। নইমুদ্দিন বেলদহ গ্রামের মৃত আহালু শেখের ছেলে।
কিশোরীর নানী জানায়, কিশোরীর বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে গেলে মা কাজের সন্ধানে ঢাকায় গিয়ে অপর এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেই থেকে কিশোরীটি তার নানী রাবেয়ার বেগমের সাথে থাকে। নিজের মোবাইল ফোন না থাকায় মায়ের সাথে কথা বলত ওই কিশোরী প্রতিবেশী নানা নইমুদ্দিনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। সেই সুযোগে নইমুদ্দিন একদিন ফাঁকা বাড়িতে তার মা ফোন দিয়েছে বলে ডেকে নিয়ে যায়। কথা বলা শেষে ঘরের দরজা বন্ধ করে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। কিশোরীটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে নইমুদ্দিন তার মুখচেপে ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই ঘটনা কাউকে জানালে তাকে ও তার নানীকে মেরে ফেলবে বলে শাসায়। ভয়ভীতি দেখিয়ে গত পাঁচ মাস যাবৎ সে কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ঘটনা কিশোরীর নানী দিশেহারা হয়ে পরে। পরে ঘটনাটি ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু সহ এলাকাবাসীদের জানায়। পরদিন এলাকাবাসী নইমুদ্দিনের কাছে ধর্ষণের ব্যাপারে জানতে চাইলে নইমুদ্দিন প্রথমে স্বীকার করলেও পরবর্তীতে অস্বীকার করে গা ঢাকা দেয়।
পরে গত ১০ জুন রাত বেলদহ গ্রামের বাশারের বাড়িতে আবু মেম্বারে নেতৃত্বে একটি বৈঠকে বসে এলাকাবাসী। সেই বৈঠকে কিশোরীর মুখে ধর্ষণের বিবরণ শুনে সচেতন এলাকাবাসী সুষ্ঠু বিচার দাবী করে ১৩ জুন ভূরুঙ্গামারী থানায় নইমুদ্দিনের নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান, অভিযোগ পেয়েছি, প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।