এক সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, সবাইকে বুঝিয়ে শুনিয়ে এই তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে হচ্ছে তার। আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই তো গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে ব্যাট করার গো ধরেছিলেন। সাকিবের জিদ কাজে লেগেছে। শুধু তার নিজের জন্য নয়, দলের জন্যও।
বিশ্বকাপে সাকিবের ব্যাটে রানের ফোয়ারা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপ ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। উইন্ডিজের বিপক্ষে অতিমানবীয় ইনিংস খেলে দলকে এনে দিয়েছেন দারুণ জয়। যে জয়ে টিকে আছে সেমিফাইনালের স্বপ্ন।
এখন পর্যন্ত খেলা পাঁচ ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সে ভালো-মন্দ অনেক কিছুই আছে। কিন্তু সাকিবের ব্যাটিং সবার চেয়ে আলাদা, এক কথায় রান মেশিন যাকে বলে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ জয়ে ছিল দারুণ অবদান। ৭৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দল হারলেও ৬৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের বড় হারের দিনেও তার ব্যাট হেসেছে। ১১৯ বলে ১২১ রানের ইনিংসটি দর্শকরা ভুলবেন না বহুদিন। আর সেমিফাইনালে উঠতে কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে যা করলেন তা অতিমানবীয়।
স্কোর:
বাংলাদেশ ২৫০/৩ (৩৪.২)
তামিম ৪৮ (৫৩)
সৌম্য ২৯ (২৩)
সাকিব ১০০* (৮৩)
লিটন দাস ৪৯* (৪২)
বোলার
শেলডন কটরেল
জেসন হোল্ডার
আন্দ্রে রাসেল
শ্যানন গ্যাব্রিয়েল
ওশানে থমাস
ক্রিস গেইল