বেনাপোল প্রতিনিধি; পাসপোর্টধারী যাত্রী জোহরা ও ছকিনা বেগমের পন্য ডিএম করে বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস ।
কাস্টমস (এআরও) বিজন মুচি ওরফে টাক বিজন ও আশিক দুইহাজার টাকা করে উৎকোচ চাওয়ায় এ নারীরা টাকা দিতে না পারায় তাদের পন্য ডিএম করে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী অই দুই নারী।
এ ঘুষের সংবাদ কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেনের কাছে সংবাদ মাধ্যমে পৌছালে তিনি তাদের পন্য ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে অই দুই কাস্টমস’র (এআরও’র) বিরুদ্ধে কোন শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
জানাযায়, গত ২২ তারিখ বেলা সাড়ে ১২ টার সময় কলারোয়া থানার বরোজাকাক্স গ্রামের সখিনা খাতুন ( পাসপোর্ট নং বিএল ০৪৬৪৭৭১ ) ও জোহরা বেগম ( পাসপোর্ট নং বিকে ০০৫৮৬৩৭) ভারত থেকে ফেরার সময় তাদের কাছে থাকা কিছু স্যান্ডেল ২ কেজি চাপতা ২ কেজি স্যাম্পু ২ কেজি হুইল পাউডার ও ১৬ জোড়া জুতা ডিএম করে দাবিকৃত ঘুষ না দিতে পারায়।
অই দু’নারী জানান, আমরা কাস্টমসের এ আরও বিজন ও আশিককে বলেছি, আমরা গ্রামে লোকের বাড়ি কাজ করি কখনো ভিক্ষা করি। এত টাকা দিব কোথা থেকে।কাস্টমস এর জনৈক মহিলা সিপাই ওই দুই নারীকে গালাগালি করে ও গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলেও জানায় এই নারীরা। পরে ভুক্তভোগী অই দুই নারী সম্পর্কে অবগত হয় কাস্টস এর ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেন। তিনি তালিকা দেখে মাল ডিএম হওয়ার উপযুক্ত না হওয়ায় পন্য ফেরতের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে (এ আরও ) আশিক বলেন আমরা ডেপুটি কমিশনার জাকির টাকির চিনি না। আমরা এখানে যা করব সেটাই হবে। কমিশনার আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই মোতাবেক কাজ করি। কমিশনার ঘুষ নিতে বলেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের একটা নির্দেশনা আছে যা সাংবাদিকদের কাছে বলা যাবে না।