মো: আ: হামিদ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে জেগে উঠা চরে স্থাপিত হতে যাচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল। আর এ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হলে পিছিয়ে পড়া চরাঞ্চলসহ জেলার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। প্রসার ঘটবে ব্যবসা বানিজ্যের।
জানা যায়, এতে যমুনার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে পূর্বপাড়ের প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকার ফসলিজমি ও বসতভিটা। সুযোগ সৃষ্টি হবে পর্যটন শিল্পেরও।
শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৫০২.০২ একর জমিতে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের নির্ধারিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক ও যুগ্ম সচিব (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. মনিরুজ্জামান, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম এডভোকেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ, ভূঞাপুর পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ, নিকরাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি জেলায় শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক উপজেলার নিকরাইল ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৮ টি মৌজার ৫০২.০২ একর খাস জমিতে অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সে মোতাবেক এতোপূর্বে কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সহ টাঙ্গাইলের তিন সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক প্রস্তাবিত ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন।
ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য সহায়ক জাতীয় সড়ক, নদী, রেলস্টেশন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সুবিধা রয়েছে প্রস্তাবিত স্থানে। যা বঙ্গবন্ধু সেতু নিকটবর্তী। আর এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হলে সরকারকে ভূমি অধিগ্রহনের জন্য কোন টাকা ব্যয় করতে হবে না। কাউকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ হতে হবে না।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী বলেন, ভূঞাপুরের চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাবিত স্থানটি সকল দিক থেকেই উপযোগি। সেদিক বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে।