এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগে দালালকে দেয়া টাকা ফেরত পেলেন চাকুরি প্রার্থীরা। কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মোঃ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম-এর হস্তক্ষেপে এই টাকা ফেরত পায় তারা। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ বিভাগ।
কুড়িগ্রামে পুলিশ কনস্টবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে এক পুলিশ কর্মকর্তার খাগড়াছড়িতে বদলী করা হয়েছে। এছাড়াও জনগণের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অপরাধে একজন এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ বিভাগ। এছাড়াও দুই একাউন্টেন্ডকে বদলী করা হয়েছে। অপরদিকে চুড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ প্রার্থীকে ঘুষ দেয়ার অপরাধে বাদ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে টাকা দেয়া প্রার্থীর অভিভাবককে ডেকে টাকা ফেরত দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একটি বিশ্বস্থ সুত্র জানায়, শনিবার (২৯ জুন) কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইন মাঠে জেলা পুলিশের তত্বাবধানে বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। লিখিত, মৌখিক এবং শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চুড়ান্ত নিয়োগের প্রক্রিয়া করে পুলিশ বিভাগ।
পুলিশের নিয়োগ নিয়ে সবসময় অনিয়ম এবং উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মোঃ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম কুড়িগ্রামে যোগদানের পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষনা দেন। সেই সাথে তিনি জনগণকে কোনো রকম প্রতারনার ফাঁদে পা না দিতে সাবধান করেন। এ নিয়ে একটি ভিডিও বক্তব্য বার্তা স্থানীয় ক্যাবল টেলিভিশন কেসিএন এবং বিভিন্ন ফেসবুক পেজসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়।
তারপরও একটি চক্র পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তার যোগ সাজসে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ অর্থ লেনদেন করেন। বিষয়টি পুলিশ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হয় পুলিশ বিভাগ।
পুলিশের এক উদ্ধর্তন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পুলিশের ঐ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও পুলিশ সুপারের বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারীতে বেশ কিছু পুলিশ সদস্য এবং দালাল রয়েছেন।