নূরে আলম শাহ,ঠাকুরগাঁও : প্রকৃতির আপন খেয়ালে বেড়ে উঠা ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী সীমান্তে মন্ডুমালা গ্রামে ঐতিহাসিক সূর্যপপুরী আমগাছটি শুধু ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের কাছে নয়, বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে সারা দেশে।
গাছের মূল থেকে ডালপালাকে আলাদা করে দেখতে চাইলে রীতিমত ভাবতে হয়। আমগাছটির ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য শুধু দেশের পর্যটক নয়, বিদেশের অনেক অতিথিকেও আকৃষ্ট করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে সূর্যপুরী এই আমগাছটি এশিয়ার বৃহত্তম গাছ হিসেবে ইতিমধ্যে আজ ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এই আমগাছটি এখন শত ব্যস্ততার মধ্যে একটু সময় করে ছুটে গিয়ে চোখ জুড়ানোর লোভ সামলাতে পারেন না পর্যটক প্রেমীরা। এলাকার মানুষ ও দূরদূরান্তের পর্যটক প্রেমীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল এখানে একটি রেস্ট হাউজ নির্মিত হলে দর্শনীয় স্থান হিসেবে আরো ব্যাপকভাবে সাড়া পাবে। জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম ঠাকুরগাঁওয়ে যোগদানের পরপরই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ঠাকুরগাঁওয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোকে হাতে নিয়ে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ঐতিহাসিক সূর্যপুরী আমগাছটির নামানুসারে সূর্যপুরী রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মাননীয় জেলা প্রশাসক ড.কে এম কামরুজ্জামান সেলিম ঐতিহ্যবাহী সূর্যপুরী রেস্ট হাউস ভবন উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে ব্যতিক্রমী এই আমগাছটি পশ্চাৎপদ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাকে দেশ বিদেশে ব্যাপক পরিচিত করে তুলবে এবং এর মাধ্যমে এলাকার মানুষের জন্য নতুন একটি দ্বার উম্মোচন হল।
সূর্যপূরী আমগাছের পাশে নবনির্মিত রেস্ট হাউজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তেশ্বর বর্মন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েলসহসউপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনসাধারন।