এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জামাইয়ের বাড়িতে শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করেছে পুত্রবধূ।
মামলার এজাহারে জানা যায় উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের উড্ডামারী চরুয়াপাড়া গ্রামের জহুর আলীর মেয়ে মোহসিনা খাতুনের সাথে কালীগঞ্জ ইউনিয়নের শিবনাথেরবস ঝাকুয়াবাড়ী গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে মমিনুর রহমানের সাথে ৭/৮ বছর আগে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের মনজু খাতুন নামের একটি ৫ বছরের মেয়ে এবং মাহমুদুল হাসান নামের ২ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সামান্য বিষয় নিয়ে মোহসিনা বেগমের শ্বশুরবাড়ীর লোকজন তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এক পর্যায়ে তার স্বামী মমিনুর ২ মাস আগে কাজের সন্ধানে ঢাকায় গেলে তার উপর অত্যাচার ও নির্যার্তনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পরে ৩ আগস্ট শনিবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পারিবারিক সামান্য বিষয় নিয়ে তার উপর চড়াও হয়ে বেদম মারপিট করে। আহতাবস্থায় মোহসিনা বাড়ির পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বাবার বাড়িতে খবর দিলে তার বাবা জহুর আলী মেয়েকে দেখতে আসে। এতে করে তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং বিয়াই ও বিয়াইনের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জহুর আলীর উপর তারা হামলা চালায় এবং বেদম মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে বাড়ি থেকে কিছু পথ যেতেই জহুর আলীর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে নাগেশ্বরী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সুরতহাল করে থানায় নিয়ে আসে এবং মোহসিনার বাড়ির লোকজন এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে মোহসিনা বেগম বাদী হয়ে নাগেশ্বরী থানায় শ্বশুর মোকছেদ আলী, শাশুড়ি, রাশিদা বেগম, দেবর ওসমান গনি (২৫), ননদ-আয়েশা খাতুন (২০), চাচা শ্বশুর আজিজুল হক এবং চাচি শাশুড়ি জোসনা বেগমকে আসামী করে ১৪৩, ৪৪৮, ৩২৩, ৩০২, ১১৪ এবং ৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং-০৯/৩৮, তারিখ: ০৩/০৮/১৯ ইং
এদিকে মোহসীনার অবস্থার বেগতিক দেখে নাগেশ্বরী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৪ আগস্ট রোববার কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে সে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবীর বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।