বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সবোর্চ্চ শাস্তির দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ছাত্র ও সামাজিক সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ সমাবেশে চলছে ক্যাপাসে। বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগও। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে আসতে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এবং ঢাকার সব কলেজ ও অন্যান্য শাখার নেতাকর্মীরা। বুয়েটেও চললে আন্দোলন।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব আসামিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তারা।
এদিকে আজই বুয়েটের শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক আমিত সাহাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়; সেই কক্ষটি অমিত সাহার। তার বিরুদ্ধে আবরারকে হত্যার অভিযোগ থাকলেও মামলায় তাকে আসামি না করায় এবং আটক না হওয়ায় সমালোচনা চলছিল।
জানা গেছে, ২০১১ নম্বর কক্ষটি অমিত সাহার। ঘটনার সময় তার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা আবরারকে বেদম মারধর করেন। পরে তিনিসহ অন্যরা বেরিয়ে যান। ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের জেরে আবরারকে রোববার রাতে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর তাকে শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে কয়েক ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ওইদিন রাত ৩টার দিকে হলের নিচতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ি থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন সোমবার রাতে নিহত আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে ওই রাতেই হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১১ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে এ হত্যার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচার দাবিতে চতুর্থ দিনেও উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস।