ads
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন

কয়লার ভাগাড় হতে চলেছে বাংলাদেশ: সুলতানা কামাল

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯
  • ০ বার পঠিত

আমরা ইচ্ছা করলেই সুন্দরবন, সারা দেশের বনরাজি, নদী, উপকূল, জলাশয়, বাতাস—সবকিছুকেই বাঁচিয়েই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারি। উন্নয়ন বা বিদ্যুতের জন্য কয়লা, এমনকি কোনো জীবাশ্ম জ্বালানিরই প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালকদের মন পরিষ্কার থাকলেই আমাদের অফুরন্ত পরিষ্কার বিকল্প জ্বালানি চোখে পড়বে।
সুন্দরবনে রামপাল প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, রামপাল প্রকল্পের নির্মাতা ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি তাদের নিজ দেশে সব কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থগিত করেছে, অথচ একই প্রতিষ্ঠান প্রবল গণ-আপত্তির মুখেও বাংলাদেশে কয়লাবিদ্যুৎ তৈরিতে পিছপা হচ্ছে না। এটি নিঃসন্দেহ একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ আচরণ। বাংলাদেশ বিশ্বনিন্দিত কয়লার ভাগাড় হতে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সুলতানা কামাল আর সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মো. আবদুল মতিন। বলেন, সুন্দরবন ধ্বংস হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ধ্বংসের মুখে পড়বে। ওই এলাকার মানুষজন জীবিকাহীন হয়ে পড়বেন। কারণ তাদের অর্থনীতির মূল উৎস হলো সুন্দরবন। তারা এটার ওপর নির্ভরশীল।

ব্যাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, গত ৩০ জুন আজারবাইজানে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৩তম সভায় সুন্দরবনের দুরবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তারমধ্যে একটি, যতক্ষণ না পর্যন্ত ‘স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল অ্যাসেসমেন্ট (এসইএ)’ না আসে, ততক্ষণ সুন্দরবনে কোনো ভারী শিল্প নির্মাণ-প্রক্রিয়ার অনুমতি সরকার দেবে না। এর মানে রামপালসহ যেসব ভারী শিল্পকারখানা নির্মাণ চলমান আছে, সেসব বন্ধ রাখতে হবে। এদিকে, সরকার ইউনেসকোকে জানিয়েছে, এসব সিদ্ধান্ত মানবে অথচ তারা তা মানছে না।

সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, গত ১০ বছরে দেশে প্রায় ৫০টি বড় দুর্যোগ হয়েছে। আইলা থেকেও মানুষকে বাঁচিয়েছে সুন্দরবন। এই সুন্দরবন যদি ধ্বংস হয়, তাহলে ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনে একটা বড় হুমকি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করা, সুন্দরবনের বাফার জোন, কোর জোন ও বনের নিকটবর্তী সব কলকারখানা, এলপিজি কারখানা বন্ধ করা, ইউনেসকোর সব দিকনির্দেশনার পূর্ণ বাস্তবায়ন করা, লাল ক্যাটাগরির শিল্পকে সবুজ করার কাজ বন্ধ করা ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষার কার্যসীমা নির্ধারণ করা।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২২
  • ১২:০২
  • ১৬:৩০
  • ১৮:২৪
  • ১৯:৪০
  • ৫:৩৭
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102