জবি প্রতিনিধি; আগামী ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের নানান অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরিচালিত ব্যান্ড দলের অায়োজনে কনসার্ট। যেখানে অংশ নিবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গঠিত কয়েকটি ব্যান্ড ও লোক সঙ্গীতদল। বিষটি নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের সাথে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, অামাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এখন দেশে বিদেশের বিভিন্ন কনসার্ট এ গান গায়। সব দিক থেকে অামরা এখন স্বকীয়তা অর্জন করেছি। অামাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা, ও সঙ্গীত বিভাগ অাছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদীচী, অাবৃত্তি সংসদ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন অাছে। এদের পরিবেশনায় দিনব্যাপী সঙ্গীতানুষ্ঠান হবে।
তাছাড়া বিকেলে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ব্যান্ডের অায়োজনে থাকবে কনসার্টের ব্যবস্থা।এর মধ্যে রয়েছে স্বপ্নবাজি, মনের মানুষ, অাবোল-তাবোল,অভিকর্ষ, এফ মাইনর, ট্রাভেলার্স, গল্প এবং পিকাসোর পায়রা।
অংশগ্রহণকারী ব্যান্ডদলকে কোন ধরনের অার্থিক সহযোগিতা দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে গান গাওয়ার জন্য কোন ধরনের অার্থিক সহায়তা দেয়া হবে না। তবে তারা যদি অন্যসময় নিজ ব্যান্ডের উন্নয়ন ও দেশের জাতীয় পর্যায়ে কোন উন্নতি করতে চায় তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে নতুন ভবনের নিচ তলায় বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী, কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘শূন্যন রেপার্টরী থিয়েটার’ এর প্রযোজনায় নাটক “লাল জমিন ” এবং সব শেষে সামাজিক বিজ্ঞান চত্ত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নাট্যকলা বিভাগ, সঙ্গীত বিভাগ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলোর অালাদা অালাদা প্রযোজনা থাকবে। শেষে কনসার্ট এ অংশ গ্রহণ করবে জবি শিকাষার্থীদের গঠিত কয়েকটি ব্যান্ড ও লোকসঙ্গীত দল।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি নিয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বলেন, অামরা এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্বতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। তাছাড়া লাল জমিন নাটকটি মুক্তিযুদ্ধের । কেউ যদি মনযোগের সাথে পুরো নাটকটি দেখে তার চোখে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ধরা দেবেই। আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বাংলাদেশ জন্মের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপন করাই ” লাল জমিন ” নাটকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।