জরুরিভাবে ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি মানতে প্রশাসনকে দুই দিনের সময় দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে জরুরিভাবে ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
১. আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে এখেই সাময়িক বহিষ্কার করতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে মর্মে বুয়েট প্রশাসন থেকে নোটিস জারি করতে হবে।
২. আবরার হত্যা মামলার সব খরচ বুয়েট প্রশাসন বহন করবে এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকবে, সেটাও নোটিসে লেখা থাকবে।
৩. বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে হলগুলো থেকে অছাত্র ও অবৈধভাবে হলের সিট দখলকারীদের উৎখাত করতে হবে। ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর কার্যালয় সিলগালা করতে হবে।
৪. বুয়েটে আগে ঘটে যাওয়া সব শিক্ষার্থী নির্যাতন, হয়রানি ও ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো ঘটনা প্রকাশের জন্য বিআইআইএস অ্যাকাউন্টে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম যুক্ত করতে হবে এবং এর পূর্ণ মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করে শাস্তি দিতে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। বিষয়টি একটি নোটিশের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
৫. প্রত্যেক হলের সকল ফ্লোরের দুই পাশে সিসি ক্যামেরা যুক্ত করতে হবে এবং এই সিসিটিভি ফুটেজ সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে- এই মর্মে নোটিস আসতে হবে।
আবরার হত্যায় জড়িতদের বহিষ্কার, পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, হলে হলে সিসিটিভি লাগানো, নির্যাতন বন্ধ, হলগুলোতে বিভিন্ন সংগঠনের অফিস সিলগালাসহ পাঁচ দফার ব্যাপারে নোটিশ না দিলে ১৪ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা হতে দেয়া হবে না বলেও জানান তারা।