নারায়ণগঞ্জে এক ডাক্তার ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে খতনা করার সময় চামড়ার সঙ্গে এক শিশুর অঙ্গ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ১৯ দিন পর চিকিৎসা শেষে বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
রোববার দুপুরে তিনি ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি করেন। ঘটনার পর থেকে ভুয়া ডাক্তার মোক্তার হোসাইন সরকার (৪৫) আত্মগোপনে রয়েছেন। তিনি ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকার মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মোক্তার হোসাইন সরকার নিজেকে ডাক্তার দাবি করে বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে লিফলেট লাগিয়ে প্রচারণা করেন। এতে ফতুল্লার পূর্ব গোপালনগর এলাকার আট বছরের ছেলের খতনা করার জন্য মোক্তার হোসাইন সরকারকে আমন্ত্রণ জানান। ২৪ মে সকালে মোক্তার হোসাইন সরকার বাড়িতে গিয়ে শিশুকে খতনা করার আগে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এলোপাতাড়ি ছুরি দিয়ে চামড়াসহ পুরুষাঙ্গের অনেকাংশ কেটে ফেলেন। এরপর কাউকে কিছু না বলে এক সহযোগীসহ মোক্তার হোসাইন সরকার দ্রুত শিশুর বাড়ি ত্যাগ করেন।
তারপর থেকে শিশুর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখান থেকে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব বার্ন ইউনিট হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর থেকে মোক্তার হোসাইন সরকার আত্মপোগনে রয়েছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি জানান, মোক্তার হোসাইন সরকার কোনো ডাক্তার নয়। তিনি ভুয়া ডাক্তার। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।