ছাত্র আন্দোলনের ব্যনারে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ডাকা ‘অসহযোগ আন্দোলন’র প্রথমদিন শেরপুরে তিনজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৩০ জন।
জেলা শহরে একাধিক স্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিন পৌর শহরের তিনআনী বাজার এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর প্রশাসনের টহলগাড়ী ওঠিয়ে দিলে বেশ কয়েক জন আহত হয়। আহতদের শেরপুর সদর হাসপাতালে
নিয়ে গেলে সেখানে তিনজনের মৃত নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। নিহতদের মধ্যে একজন হলেন আইটি উদ্যোক্তা জেলা সদরের
পাকুড়িয়া চৈতনখিলার মাহবুব আলম (২৮)। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্যজনদের নাম জানা যায়নি।
এদিকে জেলা শহরের নিউমার্কেট এবং থানার মোড় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা
অবস্থান নিলে আন্দোলনকারীরা সেখানে আসলে সংঘর্ষ শুরু হয়। অপরদিকে শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর মোড়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান
নিলে সেখানে আন্দোলনকারীরা তাদেরকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়।
হামলা ও ভাঙচুর করা হয় পুলিশ সুপারের বাসভবন, সিভিল সার্জনের বাসভবন, পুলিশ সুপার শপিং
সেন্টার, খোয়ারপাড় পুলিশ বক্সেও।
হতাহতের পর থেকেই আন্দোলনকারীরা চারদিক থেকে শহরে চলে আসায় এখন পুরো শহর তাদের নিয়ন্ত্রনে। তবে শহরে স্বাভাবিক যানচলাচল নেই বললেই চলে ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।