বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ২৭ আগস্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তবে এজাহারনামীয় ২২ জনের মধ্যে ১৩ জনকে বাদ দেওয়ায় অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছেন বাদী। সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাদী মনিরা বেগম।
যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে– প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু, রাকিবিল্লাহ রাকিব, রেজাউল করিম, শরিফ মিয়া, মনিরুজ্জামান মনির, বাদশা মিয়া, মো. শাহজালাল, শফিকুল ইসলাম ও তোফাজ্জল মিয়া।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ জুন পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রাত ১০টার দিকে বাসায় ফেরার পথে পৌর শহরের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন বেলা ৩টার দিকে মারা যান গোলাম রাব্বানী নাদিম। এই ঘটনায় ১৭ জুন নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে বকশীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত করেন। কিছু দিন পর মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। শেষে মামলার তদন্ত চলে যায় সিআইডির কাছে। ১৪ মাস পর ২৭ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি।
সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, মামলা শুধু পুঃতদন্ত না, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।এতো আলোচিত মামলা এইভাবে মিথ্যা রিপোর্ট করে কিভাবে? ১১ টা দেশের হাইকমিশনার,সারাবিশ্ব সবাই নাদিম হত্যার বিচার চাই। এই বিচার নিয়েও এতো বড় দুই নাম্বারি মানি না। এইটা আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড এবং সাবেক আইজিপি পান্না একসময় সিআইডি প্রধান ছিলেন তারই চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী দেশ যখন নতুন স্বাধীনতা অর্জন করলো, যখন আ:লীগের পেতাত্মাদের রদবদল শুরু হইল তখন সেই চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী তড়িঘরি করে এইরকম মিথ্যাচার চার্জসীট তৈর করা হয়ছে। ফুটেজ দেখে চার্জশিট দিবেন তাহলে পরেরদিন চার্জশিট দিতেন। সাড়ে ১৪ মাস সময় লাগালেন কেন?ফুটেযে ৯ জন ধরে নিয়ে যায় টুকু দেখানো হয়ছে। সিসি ফুটেজের বাইরে নিয়ে গিয়ে মারা হয়ছে সেটার বিচার কে করবে? সিসি ফুটেজ দেখে ৯ জনের নাম লিখছেন, তাহলে ফুটেজে যে গোলাম কিবরিয়া সুমনরে দেখা গেছে তাদেরও বাদ দিলেন কিভাবে? নাদিম হত্যা নিয়ে কোনো রকম প্রহসন চলবে না।
মামলার বাদী নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, সিআইডি পক্ষপাতিত্ব করে আসামিদের নাম বাদ দিয়েছে। তাদের অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতদন্তের দাবি জানান তিনি। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন।