বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, এ দেশ মুসলমানের, এ দেশ হিন্দুদের, এ দেশ বৌদ্ধদের, এই দেশ খ্রিস্টানদের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের বাংলাদেশ।
তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাস্তবায়ন রক্ষা করতে হবে।
এজন্য সকল ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে খেলাফত মজলিসের সকল নেতাকর্মীদের পাহারায় থাকতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, হিন্দু ভাইয়েরা আপনারা যত খুশি মূর্তি বানান আমরা আপনাদের পাহারা দেব। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ নিয়ে কোনো বাবার মূর্তি করতে দেওয়া হবে না। যারা তৈরি করবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার রাজনীতির কূটকৌশল ছিল সংখ্যালঘুদের রাতের অন্ধকারে কালনাগিনী হয়ে ছোবল মারা। এটা ছিল শেখ হাসিনার কৌশল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না। বাংলাদেশের আলেম সমাজ, ইমাম সমাজ, এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা এক মাস পর্যন্ত হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিয়েছে। আমরা আগামী দিনেও এই দেশে সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত ধরে রাখব। এই দেশ এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে গভীর রাজধানীর শাহবাগে রাতের অন্ধকারে বুলেটের আঘাতে ঝাঁজরা হতে হয়েছে নবীপ্রেমিক বহু হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীকে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসজুড়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পরাজয় শুরু হয়। খুনি হাসিনা, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, হাতুড়ি লীগ, হেলমেট লীগ সশস্ত্র অবস্থায় এদেশের শান্তিপ্রিয় কোমলমতি ছাত্র-জনতার ওপর ঝাপিয়ে পড়ল আর গুলি করে একের পর এক হত্যা করা হলো আমাদের সন্তানদের।
মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার প্রায় ১৬ বছর অবৈধভাবে দেশ শাসন করেছে। পরিশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ থেকে পালিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না ইনশাআল্লাহ।
শেখ হাসিনা ভারতের মোদি সরকারের অধীনে রয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সেখানে বসে যদি আমাদের এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করেন তবে ছাড় দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশকে আর কখনোই পেছনে নিতে পারবে না।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি মুফতি রমিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ,যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত জালালী,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা রুহুল আমিন খানসহ খেলাফত মজলিসের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ অনেকে।