সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের মৃত ভাই বিমানচালক মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের সঙ্গে ভারতীয় হিন্দু নারী আঞ্জু কাপুরের কোন রীতিতে বিয়ের হয়েছিল এর নথি দেখতে স্পেশাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (০২ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর সঙ্গে মুসলিম ধর্মাবলম্বী পুরুষের বিয়েতে যে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট আছে সেই আইন অনুযায়ী বিয়ে হয়েছে কিনা- জানার জন্য স্পেশাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রারকে তলব করা হয়েছে। তাকে আগামী ৮ মার্চ নথিসহ সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। অন্যদিকে আঞ্জু কাপুরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আর সুবহান।
মোস্তফা জগলুলের দুই মেয়ে মুশফেকা ও মুবাশ্বিরার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মনজিল মোরসেদ। সিটি ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন মির্জা সুলতান আল রাজী।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি জালিয়াতি করে দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুর সিটি ব্যাংকের গুলশান এভিনিউ শাখা থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা উত্তোলনের ঘটনায় তিন রকমের তারিখ এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বন্ধের দিনে কীভাবে টাকা তোলা হলো- তা নিয়ে ব্যাংকের ম্যানেজারকে তলব করা হয়েছিল। তিনি আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
তিনি জানান, সিটি ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ব্যাখ্যার শুনানি শেষে আঞ্জু কাপুরের সঙ্গে মোস্তফা জগলুলের বিবাহের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন।