আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক মামলার ‘অভিযোগপত্র দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য নির্দেশ দেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ‘অবৈধ সম্পদ’ খুঁজতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে ওই বছরের ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
প্রতিষ্ঠানটির গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়।
পরে ওই বছরের ১২ আগস্ট দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পাঁচটি মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। চোরাচালানের মাধ্যমে আনা স্বর্ণ ও হীরা জব্দের ঘটনায় এবং এসব মূল্যবান ধাতু কর নথিতে অপ্রদর্শিত ও গোপন রাখার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাগুলো করা হয়।
এর মধ্যে গুলশান থানায় দুটি, ধানমণ্ডি থানায় একটি, উত্তরা থানায় একটি ও রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।