নিজস্ব প্রতিনিধিঃ “ছিন্নমূল শিশুদের বন্ধু আনোয়ার-ই-তাসলিমা প্রথা”র জন্মদিন। প্রথা’র জন্ম নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার রমাপুর মিয়াজীবাড়ির একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে। বাবা মরহুম এ.কে.এম বশির হোসেন ছিলেন বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের প্রকৌশলী আর মা কাওছার পারভীন একজন গৃহিণী।
বাবার সরকারী চাকুরির সুবাদে বাবার কর্ম শহরেই বেড়ে উঠা। রাঙামাটি সরকারী গার্লস হাই স্কুল থেকে এস এস সি এবং রাজধানীর মিরপুর কলেজ থেকে এইচ এস সি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ইডেন কলেজ থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেন।
ছোট বেলা থেকেই তিনি অত্যন্ত সদালাপী এবং পরোপকারী। বরাবরই মিথ্যাকে ঘৃণা করেন চাকুরীরতাকে মর্যাদা শূন্য মনে করেন আর অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদী একজন মানুষ। কবি একারণেই সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ হয়ে অত্যন্ত অভিমান নিয়ে বড় হয়েছেন। তাঁর স্বপ্ন দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য ভালো কিছু করা এবং নিজের কাজের মধ্যে তাদেরকে একটি সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা দান করা।
সমাজের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত এবং উপেক্ষিত জীবনের প্রতি কবির আকুলতা এবং সহমর্মিতা বেশ প্রকট। আর এই মানবিকতা ও উদার চেতনাবোধ থেকেই নির্মল প্রাণশক্তি নিয়ে স্ব-উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন, মানবাধিকার সংস্থা ও এনজিও “সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি”।
দেশের প্রায় ১৬ টি জেলা শাখার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষা, হিজড়া জনগোষ্ঠীকে সহায়তা, প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তা, দক্ষিণবঙ্গে জলবায়ু তহবিল গঠনের মধ্য দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, হতদরিদ্রদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, বাংলাদেশের বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিল গঠন করার মাধ্যমে প্রদান করে যাচ্ছে সংস্থাটি।
আলোর মিছিল স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাজধানীতসহ কয়েকটি জেলা শাখায় পাঠদান করে যাচ্ছে প্রথার সংস্থাটি। বিনামূল্যে শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয় স্কুলের পক্ষ হতে। এসব ছিন্নমূল শিশুদের পরম বন্ধু আনোয়ার-ই-তাসলিমা প্রথা।
বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি সচেষ্ট এবং বেশ সরব। আর এতে করে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে তাঁকে অনেক সময় গুম খুনের চেষ্টা সহ কারাভোগ করতে হয়েছে। ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর মৃতদেহ জিম্মি করে স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার প্রতিবাদ করায় হামলা ও মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছেন এই নারী।
তার প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারের এনজিও অনুমোদিত।
শৈশব থেকেই তাঁর শখ ছিল লেখালেখি, গান করা আর গান শোনা। প্রচন্ড ভ্রমণবিলাসী এ কবি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করেছেন দেশ বিদেশের নানান দর্শনীয় স্থান। কবিতা তার হৃদয়ের প্রান্তিক দায়বদ্ধতা এবং সামাজিক সচেতনতালব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে উৎসারিত, যার প্রতিটি পঙক্তি ও উপমা জুড়ে প্রতিধ্বনিত হয় বর্ণিল জীবনের নিখাদ কারুকাজ।
“হৃদয় খঞ্জন” কবি আনোয়ার-ই- তাসলিমা (প্রথা)’র একটি কাব্যগ্রন্থ। বইটি ২০২০ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছিল”ছিন্নমূল শিশুদের বন্ধু আনোয়ার-ই-তাসলিমা প্রথা”