ads
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

নবী হওয়ার আগে বিচারকের আসনে মহানবী (সা.)

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১
  • ৫১ বার পঠিত

ইবরাহিম (আ.)-এর নির্মিত কাবার অবকাঠামোতে কাবাঘরের ওপর কোনো ছাদ ছিল না, দেয়ালের উচ্চতা ছিল নয় হাতের মতো। ফলে কাবাঘরের ভেতর যেমন বৃষ্টির পানি জমে যেত, তেমনি দুর্বৃত্তরা কাবাঘরের মূল্যবান আসবাব চুরি করে নিয়ে যেত। অন্যদিকে দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হওয়ায় কাবাঘর পুনর্নির্মাণেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বয়স যখন ৩৫ বছর, কোরাইশরা কাবাঘর পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কাবাঘরে ছাদ দেওয়া। কাবাঘরের পুনর্নির্মাণ ছিল কোরাইশদের জন্য অত্যন্ত মর্যাদার বিষয়। তাই কোরাইশ গোত্রগুলো নিজেদের ভেতর কাজ ভাগ করে নেয় এবং সবাই অঙ্গীকার করে নির্মাণের কাজে শুধু বৈধ উপার্জনের অর্থ ব্যয় করা হবে। সুদ, পতিতাবৃত্তি বা অন্য কোনো অবৈধ উপার্জনের অর্থ ব্যয় করা হবে না। (আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা ৭৮; আস-সিরাতুন নববিয়্যা : আরজুন ওয়া ওকায়িউন, পৃষ্ঠা ৬৪)

কাবা পুনর্নির্মাণের কাজ যখন ‘হাজরে আসওয়াদ’ স্থাপনের উচ্চতায় (দেড় মিটার) পৌঁছাল, কোরাইশ গোত্রগুলোর মধ্যে বিবাদ দেখা দিল। সব গোত্রই চাচ্ছিল তারা হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপন করবে। ক্রমেই তা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেল। সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.) পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, ‘যুদ্ধের পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। বনি আবদুদ্দার রক্তে পরিপূর্ণ একটি বিরাট বারকোষ (পানির পাত্র) তৈরি করে এবং তারা ও বনু আদি আমরণ যুদ্ধের অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়। রক্তে পূর্ণ বারকোষে হাত ডুবিয়ে এই অঙ্গীকার আরো দৃঢ় করে। এটি ছিল এক বিরাট ধ্বংস এবং এক মহাফেতনা ও বিপর্যয়ের ভূমিকামাত্র।’ (নবীয়ে রহমত, পৃষ্ঠা ১১৯)

অতঃপর তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে আগামীকাল সকালে যে প্রথম কাবাঘরের দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে সবাই তার সিদ্ধান্ত মেনে নেবে। পরের দিন সকালে সবার আগে মহানবী (সা.) প্রবেশ করলেন এবং তাঁকে উপস্থিত লোকেরা বলে উঠল, ‘এ

দেখি সবার বিশ্বস্ত মুহাম্মদ! আমরা তাঁর ব্যাপারে সন্তুষ্ট। এই মুহাম্মদ তো সবার বিশ্বাসভাজন।’ (সিরাতে মোস্তফা : ১/১১২)

রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজের চাদর বিছিয়ে দিলেন এবং নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদ তাতে রাখলেন। অতঃপর প্রত্যেক গোত্রের প্রতিনিধিদের চাদর তুলে প্রতিস্থাপনের জায়গায় রাখতে বলেন। সেখানে পৌঁছানোর পর নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপন করেন। এ সিদ্ধান্ত ছিল খুবই বুদ্ধিদীপ্ত ও অভিনব। যার মাধ্যমে তিনি কোরাইশদের ভয়াবহ এক সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করেন। অন্যদিকে যে মর্যাদা লাভের জন্য কোরাইশরা বিবাদে লিপ্ত হয়েছিল, আল্লাহ তাঁর নবীকে সে অনন্য মর্যাদায় ভূষিত করেন। (সিরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্ঠা ৫০)

গ্রন্থনা : আতাউর রহমান খসরু।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102