নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলিতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ১২ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক এস এম মোসলে উদ্দিন মিজান আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডকৃত আসামিরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের একরামুল হকের ছেলে ইউসুফ নবী বাহাদুর, একই এলাকার আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে আলমগীর হোসেন, আলা উদ্দিনের ছেলে রাহাত, আজাদ মিয়ার ছেলে আজিজুল হক মানিক, নুরুল হুদার ছেলে আবদুল আমীন, খলিল মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন, মফিজ উল্যার ছেলে সুজায়েত উল্যাহ সবুজ, সুরেশ চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে বিক্রম চন্দ্র ভৌমিক, চরকালী গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে ফয়সাল আলম টিটু, বজলুর রহমানের ছেলে মাসুদুর রহমান, গোলাপ মাওলার ছেলে সেলিম ও চরকাঁকড়ার আকবর হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন।
পিবিআই ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মুজাক্কির হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১২ আসামির তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক এস এম মোসলে উদ্দিন মিজান আসামিদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।
পরদিন শনিবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।